মিকরাক ম্রং সোহেল : কিছু গারো মেয়ে বিজাতি বরের সাথে ঘর বাঁধছে। কেউ পরিবারের বিরুদ্ধে গিয়ে, কেউবা বাবা-মা’র অবগতিতেই। বিজাতীয় সংসার করার পরেও কিছু মেয়ে মাতৃসম্পত্তি পেয়ে যাচ্ছে অথবা নির্বিঘ্নে ভোগ করছে। এই কারণে উত্তর জানার পরও হতাশায় অনেকের প্রশ্ন, বিজাতি বিয়ে করলেও কিভাবে মেয়েরা মায়ের সম্পত্তি পায়।
গারো প্রথা অনুযায়ী বিজাতি বিয়ে অনুমোদিত নয়। তা বিয়ের নীতি বহির্ভূত। সমাজ মেনে নেয় না। আত্মীয়-স্বজনের আপত্তি থাকে। মেয়ে জাতিত্বহীন হয়ে যায়। এই কারণে বিজাতি বিয়ে করলে কন্যা উত্তরাধিকার হারিয়ে ফেলে। সেই মেয়ে প্রথাগতভাবে পরিবারের কোন সম্পত্তি দাবি করতে পারে না।
এরপরও কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায়, বিজাতি বিয়ে করেও মেয়ে সম্পত্তি পাচ্ছে।
যার সম্পত্তি তার যদি আপত্তি না থাকে অথবা মেয়ের অধিকারচ্যুতি হওয়ার কারণে যার অধিকার জন্মায় সে যদি আদালতে এই প্রশ্ন না তুলে, তাহলে যা ইচ্ছা তাই হবে। আত্মীয়-স্বজন বাধা দেয়ার অধিকার রাখে, তারাও যদি নিরব থাকে, তাহলে যে কেউই সম্পত্তি পেতে পারে। যেমন- আমার জমি যে কেউ নিয়ে ভোগ করতে পারে, আমি যদি নিরব থাকি বা কোন পদক্ষেপ না নিই। প্রথা বলে দিয়েছে, বিজাতি বিয়ে করা যাবে না, করলে সম্পত্তি হারাবে। এখন, প্রথা যদি কেউ অনুসরণ না করে, প্রথার হাত-পা নেই নিজে নিজে গিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার। সমাজকেই প্রথার নিয়ম নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। এখন, সমাজই যদি এই দায়িত্ব পালন না করে তাহলে এই প্রশ্ন আসবেই। তবে আদালতে গেলে আদালত প্রথাকেই বহাল রাখবে।
